‘রাজনৈতিক দলগুলোর ইমানি দায়িত্ব সরকারকে উৎখাত করতে যা যা করার তা করা’

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবির মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। আমরা মাত্র আন্দোলন শুরু করেছি। আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায় সামনের দিকে আসতেছে। কোনোভাবে এই সরকার থাকতে পারবে না। আর যদি এই লুটেরা বাহিনী থাকে, তাহলে আমাদের দেশ আর আমাদের থাকবে না। তাই রাজনৈতিক দলগুলোর ইমানি দায়িত্ব এ সরকারকে উৎখাত করার জন্য যা যা করার তা করা। বর্তমান সরকারকে হটাতে যদি সুনামির দরকার হয়, তাহলে তাঁরা সবাই মিলে সেই অবস্থা সৃষ্টি করবেন। 

আজ (১৭ জানুয়ারী) মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে বিএনপির নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠাসহ ১০ দফা দাবিতে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন ১২–দলীয় জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, জাতীয় পার্টি (জাফর) মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, এনডিপির চেয়ারম্যান আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-একাংশের মহাসচিব গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএলের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ইসলামী ঐক্যজোট-একাংশের মহাসচিব মাওলানা আবদুল করিম ও বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাসেম প্রমুখ।সমাবেশ শেষে ১২–দলীয় জোটের একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কি-সংলগ্ন রাস্তা থেকে শুরু হয়। পুরানা পল্টন মোড় ঘুরে মিছিলটি আবার বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কির সামনে এসে শেষ হয়।

মিন্টু বলেন, সরকারি দলের নেতা ও মন্ত্রীরা বলে, ধাক্কা দিলে নাকি পড়বে না। আমার প্রশ্ন, ধাক্কা কত বড় লাগবে? মাঝেমধ্যে যখন তুফান আসে, তার সঙ্গে কিন্তু সুনামিও আসে। যদি সুনামির দরকার হয়, তাহলে আমরা সবাই মিলে সে অবস্থার সৃষ্টি করব, যাতে করে এই লুটেরা বাহিনী কোনোক্রমেই এ দেশে আর ক্ষমতায় থাকতে না পারে।  মাঝেমধ্যে দেখবেন ২০৪১,২০৪১ সাল কয়। আরে ২০৪১ সাল তো আপনারা স্বপ্ন দেখতেছেন। আগে লেগেছে ২১ বছর। এবার ফেলতে পারলে ৪১ বছরেও আর আসতে পারবে না। আওয়ামী লীগের স্বপ্ন মানে দেশের জনগণের দুঃস্বপ্ন। অতএব দেশের জনগণকে বাঁচানোর জন্য, দেশকে রক্ষা করার জন্য ভবিষ্যতে আমরা এমন আন্দোলন গড়ে তুলব, যে আন্দোলনের ধাক্কায় এ সরকার ভেসে উড়ে যাবে।

তিনি আরো বলেন, আজকে দেশের মানুষ বহু কষ্টে আছে। সরকার বলছে, বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে। আসলে বিশ্বে এখন তেলের দাম কমেছে ২৫ শতাংশ। কিন্তু সরকার দাম কমাচ্ছে না। তারা বলে, ২৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা আছে। কিন্তু বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত ১২ থেকে ১৪ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন কখনো হয়নি। এখন ২৪ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষমতা থাকলে প্রতিদিন লোডশেডিং হচ্ছে কেন? তার একটি কারণ, দুর্নীতি-লুটপাট।